সুন্দর করে লেখার প্রতি মানুষের কদর চিরকাল। যাদের হাতের লেখা সুন্দর, তাদের প্রশংসা সবার কাছ থেকেই মেলে। কিন্তু যারা নিজেদের হাতের লেখা নিয়ে অসন্তুষ্ট, তারা নিজেদের জন্য আফসোস করেন। এদের জন্যই দরকারি ইনফোর আজকের এই নিবন্ধ। হাতে কলম তুলে নিয়ে পরিশ্রম করলে হাতের লেখাও অসাধারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক হাতের লেখা সুন্দর করার কিছু কার্যকরী কৌশল।
ইচ্ছাশক্তি এবং ধৈর্য
হাতের লেখা সুন্দর করার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল ইচ্ছাশক্তি এবং ধৈর্য। আপনি যদি সত্যিই হাতের লেখা সুন্দর করতে চান, তাহলে এর পেছনে সময় ও শ্রম দিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় লেখাটি বাঁকা বা অগোছালো হলেও নিরুৎসাহিত হবেন না।
আদর্শ হাতের লেখা অনুসরণ
সুন্দর হাতের লেখা শিখতে হলে প্রথমে একটি আদর্শ হাতের লেখা অনুসরণ করা জরুরি। এটি হতে পারে আপনার কাছের কোনো বন্ধু বা পরিচিতজনের লেখা। তাদের কাছ থেকে একটি পৃষ্ঠা হাতে লিখে নিন যাতে বাংলা বর্ণমালার সব অক্ষর থাকে। এমন কাউকে না পেলে বই বা অনলাইনে সুন্দর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করতে পারেন।
নিয়মিত অনুশীলন
প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ পৃষ্ঠা করে লেখা অনুশীলন করুন। একদিন বেশি লিখে আরেকদিন না লিখলে চলবে না। নিয়মিত অনুশীলনই হাতের লেখা সুন্দর করার মূল চাবিকাঠি। এক্ষেত্রে লিখার গতি ধীরে ধীরে বাড়ানোর চেষ্টা করবেন, তবে তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে স্পষ্টভাবে লিখুন।
সোজা এবং সুশৃঙ্খল লেখা
লেখা বাঁকা হয়ে যেতে পারে, তাই প্রথম দিকে দাগ কাটা খাতায় লিখুন। এতে হাতের লেখাটি সোজা হবে এবং অক্ষরগুলো সমানভাবে আসবে। প্রতিটি অক্ষরের উচ্চতা এবং স্পেস সমান রাখার চেষ্টা করুন।
কলমের নির্বাচন
একই ধরনের কলম ব্যবহার করা উচিত। জেল পেন পরিহার করে বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করুন। পাঁচ টাকার ভালো কলম বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। এক ধরনের কলম দিয়ে নিয়মিত লিখলে লেখার ধরনেও সমতা বজায় থাকবে।
প্রতিটি অক্ষরের প্রতি মনোযোগ
প্রতিটি অক্ষর আলাদা আলাদাভাবে লিখতে হবে এবং সেগুলোর সঠিক গঠন এবং সমান উচ্চতা বজায় রাখতে হবে। কোনো অক্ষর যেন ছোট বা বড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রতিদিনের কাজে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ
শুধুমাত্র অনুশীলনের সময় নয়, প্রতিদিনের সব ধরনের লেখার কাজেও নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। ক্লাসের নোট, বাজারের লিস্ট, এমনকি খেলাধুলার স্কোরও নতুন নিয়মে লিখুন। পুরানো অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ধৈর্য এবং লক্ষ্য
হাতের লেখা সুন্দর না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। দু’একদিনের অনুশীলনেই সফলতা আসবে না। ধৈর্য ধরে নিয়মিত চর্চা চালিয়ে গেলে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ফলাফল দেখা যাবে।
দ্রুততার সাথে লেখা
হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার পর লেখার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, দ্রুত লিখতে গিয়ে যেন লেখার সৌন্দর্য নষ্ট না হয়।
শেষকথা
হাতের লেখা সুন্দর করা একটি ধৈর্যের পরীক্ষা। এটি কেবল সময় এবং পরিশ্রমের ব্যাপার। সুন্দর হাতের লেখা অর্জন করতে হলে নিয়মিত অনুশীলন এবং ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন। এই কারিশমা আয়ত্ব করতে বসে পড়ুন কাগজ-কলম হাতে, এবং তাক লাগিয়ে দিন আপনার পরিচিতজনদের।
এখনই শুরু করুন আপনার হাতের লেখা সুন্দর করার যাত্রা। সফলতা আপনার অপেক্ষায়!