সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাও ইউনিয়নের পাইল গাও গ্রামে ঐতিহ্যবাহি এই জমিদার বাড়ির অবস্থান। পাইলগাও এর এই জমিদার বাড়ির দহ্মিণ দিকে সিলেটের ঐতিহ্যবাহি কুশিয়ারা নদী প্রবাহিত।
প্রাচীন পুরাকীর্তির অন্যতম নিদর্শন জগন্নাথপুর উপজেলার এই পাইলগাঁও’র জমিদারবাড়ি । প্রায় সাড়ে ৫ একর ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত তিন শত বছরেরও বেশি পুরানো এ জমিদার বাড়িটি এ অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। দুঃখের কথা হচ্ছে, অযত্ন, অবহেলা আর সংরক্ষণের অভাবে পাইলগাঁও’র এই জমিদার বাড়িটি এখন প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ জমিদার পরিবারের শেষ জমিদার ছিলেন ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী। তিনি ছিলেন সিলেটের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ পাশাপাশি সিলেট বিভাগের কংগ্রেস সভাপতি এবং আসাম আইন পরিষদের সদস্যও ছিলেন।
যেভাবে যাবেন
সিলেটে থেকে সবচেয়ে ভালো হলো বাসে যাওয়া। সিলেট থেকে প্রতি ১০ মিনিট পরপর বাস ছাড়ে জগন্নাথপুরের উদ্দ্যেশ্যে। যেকোন একটিতে উঠে জগন্নাথপুর নেমে পড়ুন। ভাড়া ৫৫ টাকা। জগন্নাথপুর নেমে একটা রিক্সা/চিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে অথবা হেটে চলে যান পাইলগাও। মনে রাখবেন চিএনজিতে ওঠার আগে ভাড়া জিজ্ঞেস করে নিবেন কেননা এখানে গ্যাস না থাকায় চিএনজি সহ অন্যান্য যানবাহনের ভাড়া বেশি। ঢাকা থেকে আসলে, আপনাকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে নামতে হবে। তারপর আপনি এই স্থানে পৌঁছানোর জন্য স্থানীয় পরিবহন নিতে পারেন অথবা সিলেট এসেও যেতে পারেন।
যা দেখবেন
যতক্ষণ আপনি ঘুরে বেড়াবেন নিশ্চিত তা আপনার ভালো লাগবে। জমিদার বাড়ীর রূপ দেখা ছাড়াও দেখার মত আছে নলুয়ার হাওর। জগন্নাথপুর গেলে অবশ্যই দেখে আসবেন।
থাকার ব্যবস্থা
জগন্নাথপুরে থাকার জন্যে ভালো আবাসিক হোটেল এর ব্যবস্থা নেই। তবে পরিচিত কেও থাকলে আগে থেকেই যোগাযোগ করে যাওয়া ভালো।
কোথায় খাবেন / কি খাবেন
জগন্নাথপুর বাজারের স্থানীয় হোটেলে মাছ মাংসের বিভিন্ন পদের তরকারি পাওয়া যায়। সদ্য বিল থেকে ধরে আনা বাহারি মাছ খেতে ভুলবেন না।
সতর্কতা
একা না যেয়ে দল বেধে কয়েক মিলে যেতে পারেন। স্থানীয় কাউকে সাথে রাখতে পারেন। অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে জগন্নাথপুর পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন।